বিনোদন

আদিবাড়ির দুর্গাদালানে ছোট্ট রিয়া চক্রবর্তীর স্মৃতি হাতড়াচ্ছে পুরুলিয়ার তুনতুড়ি গ্রাম

আদিবাড়ির দুর্গাদালানে ছোট্ট রিয়া চক্রবর্তীর স্মৃতি হাতড়াচ্ছে পুরুলিয়ার তুনতুড়ি গ্রাম

মাওবাদী-এই সূত্র ধরেই কখনও খবরে আসে বাঘমুণ্ডি । কিন্তু এ বছর মহালয়ার আগে বাঘমুণ্ডির তুনতুড়ি গ্রামে চক্রবর্তীদের ভাঙা বাড়ির ঝোপে ঢাকা ঠাকুরদালানে পা পড়ছে মানুষের।অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অপমৃত্যুর সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে বিতর্ক চলছে অনেক দিন।

কিন্তু ‘ঘরের মেয়ে’ রিয়া চক্রবর্তীকে এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো) মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে শুনে অবাক পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার তুন্তুড়ি গ্রামে রিয়ার পড়শিরা। রিয়ার পূর্বপুরুষ আইনজীবী রামময় চক্রবর্তীর দেওয়া জমিতেই স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। রিয়ার নামে যে সব অভিযোগ শুনছি, তা তাঁদের পরিবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মানায় না।

বিশ্বাস করতে পারছি না। তদন্তের দিকে আমাদের নজর রয়েছে।” বাইশ বছর আগেছ’বছরের শিশু রিয়া বাবার হাত ধরে পারিবারিক দুর্গাপুজোয় আদি বাড়ি পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির তুনতুড়িতে পা রাখেন। সেই ছোট্ট মেয়েটাই যে আজ যেভাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন, তা ভাবতেই পারছে কার্যত অজ পাড়াগাঁ তুনতুড়ি।

আরও পড়ুন : বাঁচি কিংবা মরি, আপনাদের মুখোশ উন্মোচন করবই

তুনতুড়িতে হালকা হলদে রঙের রিয়াদের সেই দোতালা বাড়ি এখন ঝোপে ঢাকা। বছর বাইশ আগে পুজোর সময় এই বাড়িতেই উঠেছিলেন রিয়া। সব ভেঙেচুরে, উইয়ে ধরে নষ্ট হচ্ছে। তবু আজও হয় পুজো। চক্রবর্তী পরিবারের এই দুর্গাপুজো এবার ৩২৩ বছরে পা দেবে। অবশ্য রিয়ার আসা একবারই। তাঁর বাবাও প্রায় দেড় দশক আগে শেষ এসেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রিয়ার দাদু শিরিষ চক্রবর্তী ঝাড়খণ্ডের একটি খাদানে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। তিনি তুন্তুড়িতে পরিচিত নাম। রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিত্‍ চক্রবর্তী সেনা-ডাক্তার ছিলেন। রিয়ার জন্মও রাজ্যের বাইরে। বাবার কর্মস্থলের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রিয়াও দেশের নানা জায়গায় ঘুরেছেন। সে জন্য পুরুলিয়ার গ্রামের বাড়িতে তাঁদের বিশেষ আসা-যাওয়া ছিল না।

তবে পড়শিদের একাংশের দাবি, বছর কুড়ি-বাইশ আগে রিয়া তাঁর বাবার সঙ্গে তুন্তুড়িতে দুর্গাপুজোয় এসেছিলেন। তখন তিনি খুব ছোট। পরে আর আসেননি। তবুও সেই মেয়ের নামে যে অভিযোগ উঠেছে, তা এক কথায় মানতে নারাজ তুন্তুড়ি।

 

সুত্র: আজ বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button