প্রথম দুই দফায় নির্বাচন নিয়ে কমিশনের মনে শঙ্কা থাকলেও তা বেশ নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় দফার শুরুর দিক থেকে রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজ তৃতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬ টি, হাওড়ার সাতটি এবং হুগলি আটটি আসনে ভোট হবে।
সেগুলি হল – বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি,মন্দিরবাজার, জয়নগর,বারুইপুর পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা , সাতগাছিয়া, বিষ্ণপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুড়শুড়া, আরামবাগ, গোঘাট এবং খানাকুল।
আরও পড়ুন : ২রা মের পর কন্ডোমের দোকান দেবেন সায়নী, বিস্ফোরক মন্ত্যব্য অগ্নিমিত্রার!
এদিন সকালে প্রথমেই উলুবেড়িয়া আসনে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট তৃণমূল নেতার বাড়িতে চালান করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় সেক্টর অফিসারকে। বেশ কিছুক্ষণ যার ফলে এই সমগ্র এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর উলুবেরিয়া আসনের উত্তর থেকেই আবারো অশান্তির খবর সামনে আসে।চাটরা নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি বুথের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। পাশাপাশি বারুইপুর আসন থেকেও বিক্ষোভের খবর ছড়িয়ে পড়েছে।এই অঞ্চলে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী চন্দন মন্ডল এর মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতৃত্ববর্গের দাবি হেরে যাবে বুঝতে পেরেই অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরামবাগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই তৃণমূল এজেন্টকে মারধর করার দাবি সামনে আসে। তবে সব থেকে বেশি শোচনীয় অবস্থায় দেখা গিয়েছে খানাকুল বিধানসভা আসনটিকে। এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী মুন্সি নাজিবুল করিমকে বিজেপি সমর্থকরা আচমকাই চেলাকাঠ নিয়ে মারধর করতে শুরু করে দেন। আক্রান্ত প্রার্থী জানিয়েছেন,২২৩ থেকে ২২৬ বুথে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিল গেরুয়া শিবির। সেই সময়ে বুথ পরিদর্শন করতে তিনি আসলে তাকে আক্রমণ করা হয়।
View this post on Instagram