২০২১-এর নির্বাচনী ইস্তেহারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস লক্ষ্মী র ভাণ্ডার প্রকল্প। যাতে বলা ছিল, সরকারি চাকরি করা, পেনশন ভোগী কিংবা যে কোনও প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলাদের বাদ দিয়ে বাকিদের জেনারেল হলে মাসিক ৫০০ ও তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
কিন্তু সেই কথাকে ঘুরিয়ে মিথ্যেভাবে সাজিয়ে নিজেদের মত করেই রাজ্যকে দোষারোপ করে গেলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন তিনি লক্ষ্মী র ভাণ্ডার প্রকল্পকে ডিম-ভাত অর্থাত্ মা ক্যান্টিন প্রকল্পের মতই উবে যাবে বলে জানিয়েছেন।
এদিন শুভেন্দু সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে বেকারত্ব ২২ শতাংশ বেড়েছে। কোনও শিল্প নেই, জমিনীতি নেই, ২০১৪-এর পর এসএসসি হয়নি। রাজ্য ঋণ নিয়ে চলছে। তিনগুণ বেশি ঋণ নিয়েছে রাজ্য। বেকারদের চাকরি না দিয়ে অনুদান দিচ্ছে। আগে বেকারদের মুখে হাসি ফোটান মাননীয়া। একদিকে মোদিজি বলছেন আত্মনির্ভর ভারত ও অন্যদিকে বাংলা বলছে নির্ভরশীল হও।
আমরা চেয়েছিলাম কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে রাজ্যকে চাঙ্গা করতে কিন্তু সেটা হয়নি। মাননীয়া ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০২১ জিতলে একাধিক প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু ৫ মে পর সেই সমস্ত প্রকল্পের ও প্রতিশ্রুতির অপমৃত্যু ঘটেছে। এখন চালু হচ্ছে লক্ষ্মী র ভাণ্ডার প্রকল্প, যাতে সমস্ত মহিলার পাওয়ার কথা থাকলেও পাবেন শুধু ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা, যারা কোনও প্রকল্পের আওতায় নেই।
মাননীয়া দেখলেন সবাইকে দিতে গেলে রাজ্যের ১৮০০ কোটি টাকা মাসে খরচ হবে। তাই সমস্ত মহিলারা যারা এই আর্থিক সাহায্য পাবে বলে ইচ্ছা ছিল তারা ভোট দিলেও ঠকিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার ধারণা এই লক্ষ্মী র ভাণ্ডার প্রকল্প মা ক্যান্টিন অর্থাত্ ৫ টাকার ডিম-ভাত-এর মতই উবে যাব অর্থাত্ অপমৃত্যু হবে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা ডিএ চাইতেই গেলে বলে ঘেউ ঘেউ করবেন না। আবার কখনও বলেন রাজ্যের কাছে টাকা নেই। কিন্তু এই লক্ষ্মী র ভাণ্ডার প্রকল্প করতে গিয়েই দেখা যাচ্ছে রাজ্যকে ফের ঋণ নিতে হবে। প্রায় মাসে ১৩০০ কোটি টাকা অর্থাত্ বছরে ১৫০০০ কোটির বেশি খরচ হবে।’
সূত্র : এই মুহুর্তে