‘পশ্চিমবঙ্গের কাজ হয়ে গিয়েছে এবার ত্রিপুরা উন্নত করতে হবে,’ কেন এরকম মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ?
বেশ কিছুদিন কলকাতার বাইরে থাকার পর আজ আবারও নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাত:ভ্রমণে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সকলের সঙ্গে নিয়ম করে শারীরিক চর্চা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ আবারও ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা ত্রিপুরা যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আপাতত বিমান ভাড়া করছেন এরপর সরকার বিমান কেনার জন্যে অর্ডার দিয়েছে সেটা এলেই তখন একবার দিল্লী একবার ত্রিপুরা করবে। পশ্চিমবঙ্গের কাজ হয়ে গিয়েছে এবার ত্রিপুরা উন্নত করতে হবে সে কারনেই যাচ্ছেন।’ গতকাল অর্থাত্ বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক পোস্টে দিলীপ রায়ের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখার বানান নিয়ে কটাক্ষ করেন তথাগত রায়। ‘ই’ নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।
আজ এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অনুবাদ করতে গেলে এমন হয়ে যায়। দিল্লীতে বাংলা নেই, তাই হিন্দিতে অনুবাদ করা হয়। আমরা এটা আপনাদের পাবলিসিটি করার জন্য সুযোগ দিয়েছি। অনেককে কমেন্ট করার সুযোগ দিয়েছি। আজ কাল প্রচারটা উল্টোই হয়। যদি আমি জ্যাকেট পরে নৌকা করে যায় বন্যা ত্রান দিতে তার যা না ছবি আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তার উপর জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে তার থেকে বেশী ছবি আসে।
এটাই নিয়ম, যারা প্রচার করেছেন, মতামত দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ।’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, ত্রিপুরাতে পুলিশি অত্যাচার চলছে, যারা তৃণমূল করে তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়িতে রেড করা হচ্ছে।
এই বিষয় প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরাতে তৃণমূল কে করে ? কার বাড়িতে রেড করবে ? কার সময় আছে ? এখান থেকে যারা ওখানে উত্পাত করতে গিয়েছিলো তারা এই অসভ্যতা ও হিংসার রাজনীতি সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। পশ্চিমবাংলায় কোনও নিয়ম কানুন নেই, যে যা ইচ্ছা করতে পারে। ত্রিপুরাতে নিয়ম কানুন আছে, পুলিশ আছে, সরকার আছে।
ওখানে যে প্যান্ডামিক পরিস্থিতি চলছে, যারা সেই আইন ভাঙবে তাদের গ্রেফতার করা হবে। যারা ওখানে গিয়ে বিনা কারণে অশান্তি করবে তারা গ্রেফতার হবে। সরকারের দায়িত্ব আছে ওখানে। তৃণমূল সরকার শুধু বিজেপির জন্য আইন করে রেখেছে। কিন্তু ওখানে সবার জন্য আইন সমান। তাই ওখানে যদি কেউ আইন ভাঙে সরকার তাকে সাজা দেবে। তাই করেছে।’ বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কেউ কথা বললে তাদের সাজা দেওয়া হব এটা কী ধরনের রাজনীতি ? যারা ত্রিপুরায় গিয়ে আমাদের রাজনীতি শেখাচ্ছেন, তারাতো কমপক্ষে পরিস্কার করুন।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নেই, ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারি চলছে, মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেনা।
বন্যায় কয়েকটি জেলা ডুবে আছে সেটা সমস্যা নয়। আজকে ত্রিপুরায় গিয়ে দলকে জেতাতে হবে দিল্লিতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে নাস্তা করতে হবে, এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বন্যায় বাংলার মানুষ হাহাকার করছে সেটা টিএমসি-র কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সূত্র : প্রথম কলকাতা