আন্তর্জাতিক

দিনভর নাটকীয়তার পর পাকিস্তানে অলআউট ইমরান সরকার

Pakistan Political Crisis : দিনভর নাটকীয়তার পর পাকিস্তানে অলআউট ইমরান সরকার - West Bengal News 24

দিনভর নাটকীয়তার পর শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান। শতচেষ্টা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে পারলেন না ২২ গজের ক্রিকেট পিচ দাঁপিয়ে বেড়ানো ইমরান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার ক্ষমতাচ্যুতির মধ্যদিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।

কয়েক দফা মুলতবির পর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। ভোটাভুটি শেষে প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন। খবর ডনের।

জিও নিউজের খবরে বলা হয়, ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক মিনিট আগে পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি নিজেদের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে আসাদ কায়সার বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ অংশ নিতে পারবেন না।

আরও পড়ুন :: দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পর শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বললেন, ‘দেশ ছেড়ে যাবো না’

আসাদ কায়সার বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করবো। যেহেতু এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব এবং এটি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। তাই আমি প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিককে অধিবেশন পরিচালনা করতে বলবো।

এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টাতেই বসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশন। কিছুক্ষণ না যেতেই দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন বসতে না বসতে আবারও মুলতবি। এভাবে তিন দফা মুলতবি শেষে ইফতারের পর অধিবেশন শুরু হয়। তবে এবারও ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা এলো না। আবার বিরতি। এরপর ভোটাভুটি শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর প্যানেল স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনাস্থা ভোট শুরু হয়।

আর্থিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এতে চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়ে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন ::

Back to top button