বীরসা মুন্ডার ১৪৮ তম জন্মদিবস উপলক্ষে আগামীকাল প্রশাসনিকসভা মুখ্যমন্ত্রীর
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
মঙ্গলবার বীরসা মুন্ডার ১৪৮ তম জন্মদিবস উপলক্ষে বেলপাহাড়ির সাহাড়ি মাঠে প্রশাসনিকসভা করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন সাহাড়ি মাঠে সভাস্থলে বীরসা মুন্ডার পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও জঙ্গলমহলের জনজাতি ও মূলবাসী মানুষজনের জন্য এদিন সরকারি মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি।
মঞ্চ থেকেই ঝাড়গ্রামে স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য সংবাদ ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুন্ডা সম্প্রদায়ের গুণিজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মুন্ডা সাংস্কৃতিক দলগুলিকে দেওয়া হবে ধামসা-মাদল। এছাড়া মুন্ডা সম্প্রদায়ের উপভোক্তাদের হাতে জমির পাট্টা, জাতিগত শংসাপত্র, জয়জোহার সহ নানা সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারই দুপুরে কপ্টারে বেলপাহাড়ির সাহাড়ি মাঠে নামার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে প্রশাসনিক সভা সেরে আকাশপথে ঝাড়গ্রামে পৌঁছবেন। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ঝাড়গ্রাম ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রাত্রিযাপন করে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর ফেরার কথা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে কপ্টারেই আসবেন ও ফিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সড়কপথে বিকল্প ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে।
সোমবার বেলপাহাড়ি ও ঝাড়গ্রামে কপ্টারের মহড়া উড়ানও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর থাকবেন বলে ঝাড়গ্রাম ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স চত্বর ঘিরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সভাস্থলেও রয়েছে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার আয়োজন। এক সময়ের মাওবাদী ঘাঁটি বেলপাহাড়ি এখন শান্ত। সরকারি উন্নয়নের দৌলতে বেলপাহাড়ি সহ জঙ্গলমহলে পর্যটনের প্রসার ঘটেছে।
কেবল ঝাড়গ্রাম জেলাতেই এখন ৭২টি হোম স্টে তৈরি হয়েছে। দলে দলে পর্যটকও এখন ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসেন। তবে এত কিছুর মধ্যেও আদিবাসী বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও কুড়মিরা তাঁদের নানা দাবিতে নিরন্তর প্রশাসনের বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছেন।
ফলে এবারও মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী, কুড়মি সহ জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের জন্য নানা উন্নয়নের উপহার নিয়ে আসছেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্পের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তৈরি জঙ্গলমহল!’’