রাজ্যে সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত শিশুদের যৌন প্রতিরোধ ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্যাবলী
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রাজ্যে পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত শিশুদের যৌন (Sex) প্রতিরোধ ব্যবস্থা। অতীতে সাধারণত ছড়া হিসাবেই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও এবার বিভিন্ন আইনের সংস্থানকে উল্লেখ করে সিলেবাসে বিশদে অন্তর্ভুক্ত করা হল।
সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে মূলত “যৌন অপরাধ বিরোধী শিশু সুরক্ষা আইন ২০১২”-র একাধিক অংশকে সিলেবাসে (Syellebas) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোট চার পাতা জুড়ে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কেন এই অন্তর্ভুক্তিকরন ?সাম্প্রতিক সময় রাজ্যের কয়েকটি স্কুলের যৌন হেনস্থার (Sexual Harrasment) ঘটনাও ঘটেছে। অনুমান, এই বিষয়গুলি নিয়ে শিশুরা পড়তে শুরু করলে তাদের মধ্যে যৌন হেনস্থা নিয়ে সচেতনতা আরও বাড়বে।
পাশাপাশি যৌন হেনস্থার (Sexual Harrasment) শিকার হলে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে, কোন কোন বিষয়কে যৌন হেনস্থা হিসেবে উল্লেখ করা হয় ,যৌন হেনস্থা প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, অভিভাবকদের এ ক্ষেত্রে কী ধরনের সচেতনতা প্রয়োজন ,অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিশুদের (Child) ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ,গোটা বিষয়টি সিলেবাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার (Avik Majumdar) বলেন ,’শিশুদের জন্য যেটা প্রয়োজন মনে করা হয়েছে ,সেটাই সিলেবাসে নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুদের কথা ভেবেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ যদিও অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই এই বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিলেবাসে।
তবে শুধু যৌন সচেতনতায় প্রতিরোধের পাঠ নয়, এবারে সিলেবাসে ‘গুড টাচ , ব্যাড টাচকে আরও বিস্তৃত আকারে নিয়ে আসা হয়েছে।’ তবে সিলেবাসে যৌন হেনস্থা (Sexual Harrasment) প্রতিরোধে শিশুদের সচেতনতা পাঠ দেওয়া হলেও শিক্ষকরা (Teachers) কীভাবে তা পড়াবেন তা নিয়ে খোদ সিলেবাস কমিটির অন্দরে রয়েছে প্রশ্ন।