ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় ফের অন্তঃসত্ত্বা চিতাবাঘিনী, সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হল লোকচক্ষুর আড়ালে

স্বপ্নীল মজুমদার

ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় ফের অন্তঃসত্ত্বা চিতাবাঘিনী, সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হল লোকচক্ষুর আড়ালে

চিড়িয়াখানার ঘেরাটোপে আড়াই বছর পর ফের অন্তঃসত্ত্বা হল স্ত্রী চিতাবাঘ। পুষ্টিতে যাতে ঘাটতি না থাকে সেজন্য সপ্তাহে সাতদিনই ভরপেট খাওয়ানো হচ্ছে স্ত্রী চিতাবাঘটিকে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের একমাত্র স্ত্রী চিতাবাঘ হর্ষিনী কিছুদিনের মধ্যে শাবক প্রসব করবে!

সেই কারণে হর্ষিনীকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানাটি প্রাকৃতিক শালজঙ্গলের মাঝে। সেই কারণে স্বাভাবিক পরিবেশ থাকায় এখানে বন্যপ্রাণির বংশবৃদ্ধি হচ্ছে।

ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় ফের অন্তঃসত্ত্বা চিতাবাঘিনী, সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হল লোকচক্ষুর আড়ালে

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, চিড়িয়াখানার পুরুষ চিতাবাঘ সোহেল ও হর্ষিনীর মিলনের ফলে আড়াই বছর আগে দু’টি পুরুষ শাবক হয়েছিল। সেই শাবকগুলি হর্ষিনীর সঙ্গেই ঘেরাটোপে পূর্ণ বয়স্ক হয়ে ওঠায় ‘ইনমিটিং’-এর ফলে হর্ষিনী ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।

হর্ষিনী খুবই হিংস্র স্বভাবের। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের চা বাগান বস্তি থেকে ধরা পড়ার পর হর্ষিনীকে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রথম পুরুষ চিতাবাঘ সোহেলকে খয়েরবাড়ি থেকে আনা হয়েছিল তারও আগে ২০১৭ সালে। ২০২০ সালে হর্ষিনী সন্তান প্রসবের আগেই সোহেলকে আলাদা ঘেরাটোপে রাখা হয়েছিল।

এবার নিজের সন্তানদের কারও ঔরসেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে হর্ষিনী। চিড়িয়াখানার পশুচিকিৎসক চঞ্চল দত্ত বলেন, সব চিড়িয়াখানায় বৃহস্পতিবার মাংসাশী প্রাণিদের অভুক্ত রাখা হয়। তবে হর্ষিনী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে সপ্তাহের সাতদিনই খাবার দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button