কলকাতা

নথি যাচাই ছাড়াই ১২ জন শিক্ষকের চাকরি, মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

নথি যাচাই ছাড়াই ১২ জন শিক্ষকের চাকরি, মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি - West Bengal News 24

পরীক্ষায় পাস না করে, পর্যাপ্ত নথি ছাড়া দিব্যি দিনের পর দিন শিক্ষকতা করে চলেছেন ১২ জন। এই সংক্রান্ত মামলা এজলাসে উঠতেই তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে একটি মামলা ওঠে।

২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয় এক প্রার্থীকে। স্বদেশ দাস নামের ওই শিক্ষককে নির্দিষ্ট নথি যাচাই করে নিয়োগপত্র হাতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর আবার তাঁর কাছ থেকে নথি চায় জেলা প্রাথমিক পরিদর্শক।

জানা যায় প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় পাশ করা বা তাঁর যোগ্যতা সংক্রান্ত নথির কোনও কিছুই চাকরি পাওয়ার সময় দিতে পারেননি স্বদেশ। সেই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আজ তাঁর মামলা বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে ওঠে। আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই কাজের নমুনা দেখে রীতিমত বিরক্ত হন বিচারপতি। নিয়োগে অস্বচ্ছতা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কাঠগড়ায় তোলেন বিচারপতি।

আরো পড়ুন : রবিবার তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা

কীভাবে এত বড় ভুল হল? পর্ষদের পক্ষের আইনজীবি স্বদেশ বাবুকে দোষী দাবি করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে। বেড়িয়ে আসে আসল তথ্য। জানা যায় স্বদেশ বাবু একা নন, তাঁর মতে রয়েছে আরও ১২ জন। যাদের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার সময় কোনও নথি যাচাই হয়নি, এমনকি টেট পরীক্ষা কেউ পাস করেনি।

এই অভিযোগ শুনে ও প্রমাণ দেখে বেজায় চটে যান বিচারপতি। এই ঘটনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চে আবেদন জানাতে নির্দেশ দেন তিনি। আর এখানেই বিপাকে পড়তে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, ধারণা বিশিষ্টদের।

বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ তাই আর রিট পিটিশন নয়, রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়ে এটিকে জনস্বার্থ মামলায় রুপান্তরিত করতে বলেন তিনি। আর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাতে নির্দেশ দেন রেজিস্ট্রারকে। তিনি জানান, স্বচ্ছতা আনতে হবে নিয়োগে, আর এই মামলার গভীরে যেতেই এই উদ্যোগ।

সূত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button