জাতীয়

‘অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন’, দিল্লি সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

‘অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন’, দিল্লি সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের - West Bengal News 24

‘বাজে অজুহাত দেবেন না।’ ঠিক এই কড়া ভাষাতেই দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে কেজরিওয়াল সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লিতে দূষণ লাগামহীন। নাভিশ্বাস উঠছে জনজীবনের। এই পরিস্থিতিতে আজ শীর্ষ আদালতের সাফ প্রশ্ন, দুষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী পরিকাঠামোগত পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি সরকার? একইসঙ্গে দিল্লি সরকারের উদ্দেশে ‘সুপ্রিম’ হুঁশিয়ারি, অপ্রয়োজনীয় কথায় কাজ নেই। দায় এড়াবেন না। বাজে অজুহাত দিলে আমরাও অন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। যে আয় আপনারা করছেন ও প্রচারে ব্যবহার করছেন, তার হিসেব নিতে বাধ্য করবেন না।

পাশাপাশি, এদিন দিল্লি সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ, অবিলম্বে টাস্ক ফোর্স গঠন করুন। আগামিকাল সন্ধ্যার মধ্যে যে যে কারণে অত্যধিক দূষণ ছড়াচ্ছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণে সদর্থক ভূমিকা নিন। উল্লেখ্য, এদিন শীর্ষ আদালতের কাছে দূষণের জন্য ধমক খেয়ে দিল্লি সরকার পাল্টা পাঞ্জাব সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে।

আরও পড়ুন : দেশে নিম্নমুখী করোনা-গ্রাফ, ১০ হাজারে সংক্রমণ, মৃত্যু কমে ১২৫!

কেন খড় পোড়ানোর জন্য কৃষকদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে না? বা কেন খড় না জ্বালানোর জন্য কৃষকদের ‘ইনসেনটিভ’ দেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন তোলে কেজরিওয়াল সরকার। যার জবাবে সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা জানায় যে, খড় পোড়ানো-ই একা ও একমাত্র কারণ নয়। কারণ মাত্র ১০ শতাংশ দূষণ তার থেকে হচ্ছে। বাকি নির্মাণকাজ, শিল্প, পরিবহন- এগুলোই প্রধান ইস্যু।

একইসঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণে এদিন সুপ্রিম কোর্ট বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছে। যেমন-

১) প্রকাশ্যে জঞ্জাল-আবর্জনা পোড়ালেই জরিমানা ধার্য করুন। সে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত যে-ই হোক।

২) পার্কিং ফি দ্বিগুণ করুন। যাতে অপ্রয়োজনে বেরনো বন্ধ হয়।

৩) ডিজেল জেনারেটর ব্যবহার বন্ধ করুন।

৪) বাস ও মেট্রো পরিষেবা বাড়ান।

৫) জোড়-বিজোড় ফর্মুলা আবার চালু করুন।

৬) দিল্লিতে ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন।

৭) প্রয়োজন হলে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করুন।

৮) পাথর খোদাই মেশিন ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করুন।

৯) হোটেল-রেস্তরাঁয় কয়লা পোড়ানো, কাঠ জ্বালানো বন্ধ করুন।

১০) ঘন ঘন রাস্তা পরিষ্কার করুন ও রাস্তায় জল ছেটান।

সুত্র : ২৪ ঘন্টা

আরও পড়ুন ::

Back to top button