মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গ্রেফতারের আবেদন
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রি ও গল ফেইসের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলায় সহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৩ মে) এক আইনজীবী আবেদনটি করেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মিরর।
খবরে বলা হয়, আবেদনে মাহিন্দা রাজাপাকসে, এমপি জনস্টন ফার্নান্ডো, সঞ্জিবা এডিরিমান্নে, সনাথ নিশান্থা, মোরাতাওয়া পৌর কাউন্সিল সমন লাল ফার্নেন্দো, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের জ্যেষ্ঠ ডিআইজি দেশবন্ধু তেন্নাকুন ও আইজিপি চন্দনা বিক্রমারাত্নের গ্রেফতার চাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কলম্বো ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট থিলিনা গামাজের আদালতে ওই আবেদন পেশ করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আগামী ১৭ মে কলম্বো চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদনটি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের অব্যাহত আন্দোলনের ফলে গত সোমবার পদত্যাগ করে বর্তমানে একটি সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধীদল। দেশের সর্বনাশা অর্থনৈতিক সংকটের দায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে পদত্যাগ করতে হবে বলে তারা জোর দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু বিরোধীদের মন্তব্য আভাস দিচ্ছে, এতে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মিটছে না।
ক্ষমতাগ্রহণের পর বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিক্রমাসিংহে বলেন, আপাতত পরিবারগুলোর জন্য তিনবেলা খাবার নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন তিনি। এজন্য সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসব। অর্থনীতি ভালো অবস্থায় পৌঁছার আগে আরও অবনতির মুখ দেখবে।
বিক্ষোভকারী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে এক সপ্তাহের সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।