৪ শ্রাবণ ১৪৩০ (২১ জুলাই ২০২৩) ছিল কবি নাট্যকার গীতিকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ১৬১তম জন্মদিবস। কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীর পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবছর এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়।
এই লাইব্রেরী সার্ধশতবর্ষ অতিক্রম করেছে এবং আমাদের রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন গ্রন্থাগার। আর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় হলেন কৃষ্ণনগরের ভূমিপুত্র। ৪ শ্রাবণ ১৪৩০ ছিল তাঁর ১৬১তম জন্মদিবস। এদিন কৃষ্ণনগর শহরজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরীতে দ্বিজেন্দ্র স্মরণ। এদিনের মূল আলোচক ছিলেন আঞ্চলিক ইতিহাস লেখক দীপাঞ্জন দে।
গ্রন্থাগারের মহারাজা শ্রীশচন্দ্র রায় পাঠকক্ষে প্রতিষ্ঠিত দ্বিজেন্দ্রলালের মূর্তিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এদিন একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ দ্বিজেন্দ্র স্মরণ করেন। দ্বিজেন্দ্রলালের জন্মজয়ন্তীর সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ তাদের ভবনে কবিকে বিশেষভাবে স্মরণ করেন।
গ্রন্থাগারের মহারাজা শ্রীশচন্দ্র রায় পাঠকক্ষে দ্বিজেন্দ্র স্মরণ অনুষ্ঠানটি হয়। স্বাগত ভাষণ রাখেন পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবীর সিংহরায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পরিচালন সমিতির সদস্য সঞ্জিত দত্ত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে এবছর শুধুমাত্র একটি বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল।
আলোচক দীপাঞ্জন দে ‘কৃষ্ণনগরে দ্বিজেন্দ্র স্মরণ : নানা অভিমুখ’ বিষয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণের ক্ষেত্রে কৃষ্ণনাগরিকদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, সাফল্য ব্যর্থতা, সীমাবদ্ধতা, এমনকি তাঁকে স্মরণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উঠে আসে।
বক্তব্যের শেষে সভাকক্ষে উপস্থিত শ্রোতরাও সেই আলোচনায় সাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন।এদিনের অনুষ্ঠানে লাইব্রেরীর পরিচালন সমিতির সদস্যরা ও পাঠকবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন পরিচালন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সম্পদনারায়ণ ধর, গ্রন্থাগারিক সুব্রত চ্যাটার্জী, পরিচালন সমিতির সদস্য মহেশ ভট্টাচার্য প্রমুখরা।