মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা সদরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ ঝাড়গ্রামে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।
আসার আগে গড় শালবনীর কাছেই শালবনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় থেমেছিল। স্কুলে নেমে খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন। তারা কেমন আছে, জেনতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে পড়ুয়াদের পড়াশোনা সম্পর্কে খোঁজ নেন। এলাকার হাইস্কুল কতদূরে সেটাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সেখান থেকে শহরের প্রবেশ মুখেই শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ কন্যাগুরুকুলে গিয়ে মঠাধ্যক্ষা পরিব্রাজিকা আত্মহৃদয়ার সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার স্কুলের ছাত্রীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লেখা কন্যাশ্রীর গান মুখ্যমন্ত্রীকে গেয়ে শোনায় ছাত্রীরা।
মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনও রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। তাতে গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম টুরিস্ট কমপ্লেক্সে ঢুকে যান। বাদল কিস্কুর নেতৃত্বাধীন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের জেলা পরগনা ঢাঙা হাঁসদার নেতৃত্বে সাত আদিবাসী প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নানা দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসেন।
এর পর মুখ্যমন্ত্রী কুড়মি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ছিলেন রাজেশ মাহাতো, অনুপ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো সহ পাঁচ প্রতিনিধি দল। তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের আদিবাসী তালিকাভুক্তির স্বপক্ষে রাজ্যের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন। করম পরবে পূর্ণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
টুরিস্ট কমপ্লেক্সেই রাত্রিযাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে তিনি আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখান থেকে ১৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ৭২ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি ৩১ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।