ঝাড়গ্রাম: গেরুয়া শিবিরে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে তরুণ মুখ। জেলার বিভিন্ন ব্লকে যুব মোর্চার সভাপতি পদে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যুব মোর্চার ঝাড়গ্রাম নগর মণ্ডলের সভাপতি হয়েছেন বছর সাতাশের অভিমন্যু যাদব।
ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা অভিমন্যু মোবাইল ফোনের ব্যবসা করেন। শহরের স্টেশন রোডে রয়েছে তাঁর দোকান। যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অনুরণ সেনাপতির অনুগামী হিসেবে পরিচিত অভিমন্যুর নতুন পদপ্রাপ্তি নিয়ে গেরুয়া রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনুরণ আগে ছিলেন যুব মোর্চার ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুন : ঝাড়গ্রামের সেনবাড়ির ঐতিহ্যের জগদ্ধাত্রী পুজোর এবার ২১৬ তম বর্ষ
জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সঙ্ঘাতের কারণে গত জুলাইয়ে তাঁকে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গত লোকসভা ভোটে দলীয় প্রচারে টাকা খরচ নিয়ে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে অনুরণের মন কষাকষির শুরু। অনুরণ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করলেও সেই টাকা দলের তরফে ফেরত পাননি বলে অভিযোগ।
অনুরণ অনুগামীরা এই নিয়ে ফেসবুকে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হন। সূত্রের খবর, তার জেরেই অনুরণকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই অনুরণও তাঁর অনুগামীদের নিয়ে পাল্টা কর্মসূচি করতে থাকেন। দলের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনুরণের জনপ্রিয়তার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তাই অনুরণকে গত অগস্টে যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : এগারো বছর পরে বাঁদনা পরবে পরিবারের সঙ্গে ছত্রধর মাহাতো
বিধানসভা ভোটের আগে অনুরণের অনুগামীদেরও সংগঠনের পদ দেওয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আর কয়েক মাস বাকি। ঝাড়গ্রাম শহরের ১৮টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট পুরসভার ভোটও আসন্ন। তাই শহরে গেরুয়া শিবিরের তরুণ মুখ অভিমন্যুকে যুব মোর্চার নেতৃত্বে আনার পিছনে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অভিমন্যু বলেন, ‘‘ব্যক্তি নয়, দলই বড়। অনুরণদার কাছে রাজনীতির পাঠ নিয়েছি। তাঁকে অনুসরণ করে চলেছি। গৈরিক ঝাড়গ্রাম গড়ার লক্ষ্যে সংগঠনের কাজ শুরু করেছি।’’