বাংলা সাহিত্যের ‘নক্ষত্র পতন’, প্রয়াত সাহিত্যিক-সাংবাদিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sirsho Bandopadhyay)। সোমবার রাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন তিনি। ভোররাতে এল সেই দুঃসংবাদ। মৃত্যুকালে শীর্ষবাবুর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। ভয়েস অফ রাশিয়া, সকালবেলা, আজকাল-সহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। খবরের প্যাকেজ থেকে উপন্যাস, গল্প সবেতেই তুখোড় স্মার্টনেস ঝড়ে পড়ত।
কটাক্ষের ছলেই যে রসিকতা করা যায় তা শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছাকাছি থাকা মানুষজন ভালই উপলব্ধি করেছেন। বাথরুমে শীর্ষবাবুকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর কন্যা। তড়িঘড়ি চিকিত্সককে খবর দেওয়া হলে তিনি পরীক্ষা করে জানান, অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন সাহিত্যিক।
এক সপ্তাহ আগেই পুরোনো সহকর্মীর কোভিডে চলে যাওয়া নিয়ে ফেসবুকে স্মৃতিচারণ করেছিলেন। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর অবিচুয়ারি লিখছে কলকাতার সংবাদমহল। লেখকের সহকর্মী, জুনিয়র সাংবাদিকরা। ‘শার্দুল সুন্দরী’ উপন্যাসের হাত ধরে বাংলার পাঠক সমাজে দারুণ জনপ্রিয়তা পান তিনি।
এখন রবিবার খবরের কাগজ মানেই শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক উপন্যাস ‘দ্রোহকাল’। গত রবিবারও একনিষ্ঠ পাঠক সামনের রবিবারের পাতায় যখন শীর্ষবাবুকে খুঁজবেন তখন তো আমাদের দ্রোহকাল শুরু হয়েছে। যা আর এজীবনে কাটবে না।
সূত্র : লেটেস্ট লি