ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম শহরের স্টেডিয়াম চত্বরে পলাশ গাছের চারা রোপণ করলেন সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। শুক্রবার দুপুরে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতোর আমন্ত্রণে তাঁর দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন নচিকেতা। শিল্পীকে সংবর্ধনা দেন অজিত। স্টেডিয়ামের মাঠের চারপাশে ৩০টি পলাশ চারা রোপণ করা হয়। এদিন অজিতের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন শহর তৃণমূলের নেতা দেবজিৎ মান্না, পুর-প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য কল্লোল তপাদার, জেলার বঙ্গজননী নেত্রী তথা রাজ্য শিশু সুরক্ষা আয়োগের সদস্য নিয়তি মাহাতো প্রমুখ।
এই প্রথমবার সপরিবারে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে এসেছেন নচিকেতা। স্ত্রী সুমিতা ও মেয়ে ধানসিঁড়িকে নিয়ে সপ্তাহ খানেক ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেড়িয়েছেন তাঁরা।
গত ৩ ও ৪ জুলাই ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের মানগোবিন্দপুরের একটি গ্রামীণ রিসর্টে সপরিবারে ছিলেন তিনি। ঘুরে দেখেন সুবর্ণরেখা নদীর তীরের সৌন্দর্য ও গ্রামীণ সংস্কৃতি। নচিকেতা এলাকায় এসেছেন খবর পেয়ে ৪ জুলাই সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান স্থানীয় তিনটি আদিবাসী সংস্কৃতি দলের শিল্পীরা।
মানগোবিন্দপুরের ওই গ্রামীণ রিসর্টের অডিটোরিয়ামে নচিকেতাকে আদিবাসী প্রথায় সম্মান জানালেন লোকশিল্পীরা। স্থানীয় শিল্পী গোষ্ঠীগুলির হাতে সাম্মানিক তুলে দেন নচিকেতা। স্থানীয় লোকশিল্পীদের অনুরোধে বিখ্যাত গান, ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে’ গেয়ে শোনান তিনি। নচিকেতার বহু অনুষ্ঠানের সংগঠক সত্যজিৎ চক্রবর্তী জানালেন, স্রেফ ছুটি কাটাতে অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রামকে বেছে নিয়েছেন নচিদা।
সোমবার মানগোবিন্দপুর থেকে নচিকেতা সপরিবারে চলে এসেছেন ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে গড়শালবনির আরণ্যক রিসর্টে। ‘ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম’-এর কর্তা সুমিত দত্ত জানালেন, গ্রামীণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশে থেকে খুবই খুশি হয়েছেন নচিকেতা ও তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার তাঁরা বেলপাহাড়ি বেরিয়ে এসে খুব খুশি হয়েছেন।