জাতীয়

আইন পাশ হচ্ছে, নাকি পাপড়ি চাট বানাচ্ছেন মোদী-শাহ! কেন্দ্রকে কটাক্ষ ডেরেকের

আইন পাশ হচ্ছে, নাকি পাপড়ি চাট বানাচ্ছেন মোদী-শাহ! কেন্দ্রকে কটাক্ষ ডেরেকের- West Bengal News 24

সংসদ উত্তাল পেগাসাস কাণ্ডে। বিরোধীদের ফোনে পেগাসাস অ্যাপের মাধ্যমে আড়ি পাতার অভিযোগে বিরোধী শিবির, শাসক দলের সংঘাতে সংসদে কার্যত অচলাবস্থা চলছে। তার মধ্যেই সংসদে তড়িঘড়ি বিল পাশ করানোর হিড়িক চলছে। এ নিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভা এমপি ডেরেক ওব্রায়েন কটাক্ষ করলেন, গড়ে সাত মিনিটে একটা করে বিল পাশ হচ্ছে। সরকার কি ‘পাপড়ি চাট বানাচ্ছে!’ এভাবে সরকার সংসদের ‘পবিত্রতা ক্ষুন্ন করছে’ বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

সোমবার সকালে মোদী সরকারকে হুল ফোটানো ট্যুইটে ডেরেক লেখেন, প্রথম ১০ দিনে মোদী-শাহ দ্রুততার সঙ্গে ১২টা বিল পাশ করিয়ে নিল। একেকটার পিছনে খরচ হয়েছে গড়ে সাত মিনিট করে। আইন পাশ না পাপড়ি চাট তৈরি হচ্ছে! সরকারপক্ষ অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

ট্যুইটের সঙ্গে তিনি সংসদের দুই পক্ষে অনুমোদিত বিলগুলির গ্রাফিক্সে বানানো তালিকা জুড়ে দেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, পেশ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বিলে ছাড়পত্র মিলছে। সবচেয়ে দ্রুত পাশ হয়েছে কোকোনাট ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বিল, মাত্র এক মিনিটে। আর সবচেয়ে বেশি সময় (১৪ মিনিট) লেগেছে এয়ারপোর্টস ইকনমিক রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বিলটি গৃহীত হতে।

অতীতেও ডেরেক মোদী সরকারকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করেছেন এ ধরনের ব্যাঙ্গাত্মক টিপ্পনীতে। ২০১৯ এও তড়িঘড়ি একের পর এক বিল পাশ করানোয় বিজেপি সরকারকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা কি পিত্জা ডেলিভারি দিচ্ছি। ‘অতি দ্রুততা’র সঙ্গে তিন তালাক বিল পাশ হওয়া নিয়ে এমনই ছিল তাঁর প্রতিক্রিয়া। তিনি লিখেছিলেন, সংসদের কাজ বিল বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা, খতিয়ে দেখা। কীভাবে অধিবেশনকে বুলডোজ করা হচ্ছে, এই চার্টই দেখাচ্ছে। আমরা আইন পাশ করছি বা পিত্জা ডেলিভারি দিচ্ছি!

১৯ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশনের সূচনার পর থেকে পেগাসাস, কৃষি আইন সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোলে দুই কক্ষেই কাজ বলতে গেলে কিছুই হয়নি। এজন্য গত সপ্তাহেই কংগ্রেসকে নিশানা করে তারা সভা চালাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে দলীয় এমপিদের মিডিয়ায়, জনগণের সামনে তাদের মুখোশ দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পাশাপাশি কিছু সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া একটি তথ্যকে অস্ত্র করে সরকার দাবি করে, সংসদ অচল থাকায় জনগণের ট্যাক্সের ১৩৩ কোটি টাকার অপচয় হয়েছে। লোকসভায় কাজ হতে পারত ৫৪ ঘন্টা, হয়েছে মাত্র সাত ঘন্টা। রাজ্যসভায় কাজ হতে পারত ৫৩ ঘন্টা, সেখানে হয়েছে মাত্র ১১ ঘন্টা।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button