শ্মশানের রাস্তার কাজ করেও মেলেনি টাকা, প্রবীণ ঠিকাদারের প্রশ্ন, শ্মশানে যাওয়ার আগে টাকা পাবো কি?
স্বপ্নীল মজুমদার
কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না ঝাড়গ্রাম পুরসভার ঠিকাদাররা। এজন্য শুক্রবার ঠিকাদাররা পুরভবনের সামনে জমায়েত করেন। পরে স্লোগান দিতে দিতে তাঁরা পুরভবনের ভিতর ঢোকেন। বিক্ষোভ দেখান।
পুরসভার ঠিকাদার সংগঠনের সভাপতি সুভাষ দাস ও সম্পাদক কাশীনাথ পাত্রের নেতৃত্বে ঠিকাদাররা পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক শান্তিকুমার রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে বিলের দাবি জানান। নির্বাহী আধিকারিক বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। এরপর পুরপ্রধান কবিতা ঘোষের সঙ্গেও দেখা করেন ঠিকাদাররা।
ঠিকাদার সংগঠনের সভাপতি সুভাষ দাস বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ঠিকাদারদের বহু টাকা বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪২ জন ঠিকাদারের ১৬ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কাজ করেও টাকা মেলেনি তাঁদের। টেন্ডারের পদ্ধতি নিয়েও অভিযোগ করেন সভাষ। তিনি বলছেন, টেন্ডার প্রসেসিংয়ের কাজ খুবই ধীরে হয়।
এক প্রবীণ ঠিকাদার শঙ্কর সমাজদার বলেন, বাছুরডোবা শ্মশানের রাস্তার কাজ করেছি। শ্মশানের গার্ড ওয়াল তৈরি করেছি। কিন্তু পাঁচ বছর হয়ে গেল টাকা পেলাম না। বেঁচে থাকতে কি টাকা পাবো? নাকি আমিই শ্মশানে চলে যাব কিন্তু টাকা আর পাওয়া যাবে না।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পুরসভার কাছে বকেয়া মেটানোর টাকা নেই। তাই এমন সমস্যা হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরসভায় কোনও কাজের কাজ হচ্ছে না। পুরপ্রধান কোনও সমস্যার কথা শুনতে চান না। খুবই দুর্ব্যবহার করেন।
এদিন পুরভবনে পুরপ্রধান কবিতা ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে তিনি বলেন, দলের (তৃণমূল) সভা আছে। আমাকে যেতে হবে। এই বলে তিনি বেরিয়ে যান। তার মধ্যেও ঠিকাদারদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিরক্তির সঙ্গে কবিতা বলেন, “পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান বের করতে হবে।”