রাজ্য

‘জল জীবন মিশন প্রকল্পের’ কাজের গতি নিয়ে অখুশি মুখ্যসচিব, দ্রুততা আনতে চালু হল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম

'জল জীবন মিশন প্রকল্পের' কাজের গতি নিয়ে অখুশি মুখ্যসচিব, দ্রুততা আনতে চালু হল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম

জলের অপর নাম জীবন।’ জল জীবন মিশন প্রকল্পের’ আওতায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করছে।

সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জল প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পরেই প্রকল্পের কাজে গতি আনার জন্য এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। ২০২৪ এর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাতে রাজ্যে প্রতিটি পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে রাজ্যের পূর্ত, সেচ, ক্ষুদ্র সেচ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরকে যৌথ ভাবে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেল, জাতীয় সড়ক এবং কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে। নতুন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেই সমন্বয় রক্ষার পথ সুগম হবে।

এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৯ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৪৮টি গ্রামীণ বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬১ শতাংশ। খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩২.৪৭ শতাংশ। রাজ্যে প্রতিটি বাড়িতে জলের সংযোগ দিতে খরচ হবে ৫৮ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২০২২-‘২৩ অর্থবর্ষেই খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

মোটের ওপর কাজ হয়েছে ৬১ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় হল ৬০ শতাংশ। তবে দার্জিলিং, মালদহ, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার মতো জেলায় কাজ হয়েছে ১৭ থেকে ২৪ শতাংশ। যে সব জেলায় কাজের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়, সেই সব জেলায় কাজে গতি আনতে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গোটা দেশে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button