রাজনীতি

লকডাউনের মধ্যে অন্ধ্রের মহিলা বিধায়কের পায়ে ফুল বিছিয়ে অভ্যর্থনা গ্রামবাসীদের, ভিডিও ঘিরে সমালোচনা

লকডাউনের মধ্যে অন্ধ্রের মহিলা বিধায়কের পায়ে ফুল বিছিয়ে অভ্যর্থনা গ্রামবাসীদের, ভিডিও ঘিরে সমালোচনা

তিনি রাস্তার মাঝে হেঁটে চলেছেন। হাতে গ্লাভস, মাস্কে ঢাকা মুখ। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে গ্রামবাসীরা তাঁর পায়ে ফুল ছুড়ে অভর্থনা জানাচ্ছেন। না তিনি কোনও ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী নন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বিধায়ক আর কে রোজা। অন্ধ্রের ক্ষমতায় থাকা ওয়াই এস আর কংগ্রেসের এই বিধায়ক আগে ছিলেন অভিনেত্রী।

আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। সম্প্রতি পুত্তুরের একটি এলাকায় একটা জলের ট্যাপ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রোজা। তখনই এভাবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ট্যাপ উদ্বোধনের পরে রেশন বিতরণ করেন রোজা। তখনও সবাইকে লাইন দিয়ে রেশন নিতে দেখা যায়। পায়ে ফুল ছোড়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টির তরফে অভিযোগ করা হয়, লকডাউনের নিয়ম ভেঙেছেন বিধায়ক। সেখানে উপস্থিতি মানুষরা মাস্ক পরে থাকলেও একসঙ্গে এত লোক জড়ো হওয়ায় সমালোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

এই সমালোচনা অবশ্য বিন্দুমাত্র বিচলিত নন রোজা। বরং এই কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। রোজা বলেন, ‘আমি আশা করিনি এই ধরনের অভ্যর্থনা পাব। আমি গ্রামবাসীদের এই অভ্যর্থনা নিয়েছি কারণ আমি তাঁদের ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাইনি। সেখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। প্রত্যেকের মুখে মাস্ক ছিল।’ বিরোধীদের অভিযোগের পরে তাদের এক হাত নিয়েছেন বিধায়ক।

রোজা বলেন, ‘পুত্তুরের বিধায়ক তো তেলুগু দেশম পার্টির। নিজের এলাকার জন্য কিছু করেননি তিনি। অনেক বছর ধরে জল ও বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। রাজ্য সরকার তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নোংরা রাজনীতি করছে তেলুগু দেশম পার্টি।’ রাজনীতিতে আসার আগে যথেষ্ট নামী অভিনেত্রী ছিলেন রোজা। রজনীকান্ত, চিরঞ্জীবীর মতো বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। টেলিভিশনে সঞ্চালিকা হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।

সুত্র:THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button