বিনোদনরাজনীতি

কাটমানি নিয়ে মুখ খুলে কলেজের পরিচালন সমিতির পদ খোয়ালেন রুদ্রনীল

কাটমানি নিয়ে মুখ খুলে কলেজের পরিচালন সমিতির পদ খোয়ালেন রুদ্রনীল

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অনুপস্থিতি ও কাটমানি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরানোর মাসুল দিতে হল অভিনেতা রুদ্রনীল সেনকে৷ বৃহস্পতিবার নরসিংহ দত্ত কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। এই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র রুদ্রনীল।

একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যাননি রুদ্রনীল। বলেছেন, কেন যাননি, এ প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতার জবাব, ‘‘দিন দুয়েক আগে থেকেই আমার কাছে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য ফোন আসতে থাকে। কিন্তু আমি ফোন ধরিনি। কারণ, যে ভাবে সবটা চলছে, তা ঠিক হচ্ছে না। আর আমি রাজনৈতিক কর্মী নই, সমর্থক মাত্র। এবং ওখানে গেলে ভুলটাকেই সমর্থন করা হত। ২০১৯-এ নির্বাচনে আমি তারকা প্রচারকের লিস্টে ছিলাম না। সে সময় যাঁদের ডাকা হয়েছিল, তাঁদের অনেকেরই রাজনৈতিক অবদান শূন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সংগ্রাম দেখে আকৃষ্ট হয়েছিলাম, এখন তা পরিবর্তিত। কালীঘাট এবং তার কাছাকাছি পাড়ার কিছু নেতা, তাঁকে যা বলেন, উনি সেটাই বিশ্বাস করেন।’’

শুধু তাই নয়, কাটমানি নিয়ে মুখ খুলেছেন শাসক দলের ঘনিষ্টবৃত্তে থাকা এই অভিনেতা৷ তিনি বলেন, “স্থানীয় নেতাদের দুর্ব্যবহার এবং মানুষের থেকে দলের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া আজকাল আর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করে না। তিনি শুধুমাত্র কিছু বাছাই করা লোকের কথা শুনে চলছেন৷ তাঁর নির্দেশ মেনেই দলের বিভিন্ন নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের দেখা যাচ্ছে ‘কাট মানি’ ফেরৎ দিতে। এর ফলে মানুষের কাছে এই ধারণাই পৌঁছচ্ছে যে এতদিন এই ‘কাট মানি’ তেই দল চলত। পাশাপাশি ‘কাট মানি’ থেকে নজর ঘোরাতে ‘ব্ল্যাক মানি’ ইস্যুটি তুলে আনাকেও আমি সমর্থন করি না৷”

শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই যে পদ খোয়াতে হল রুদ্রনীলকে সেটা রাজনৈতিক ও চলচ্চিত্র জগতের কাছে স্পষ্ট৷ যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ তাদের দাবি গত ১১ জুন সভাপতি পদে রুদ্রনীলের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই ১০ সদস্যের ওই গভর্নিং বডি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন ১১ জনের কমিটিতে স্থান পাননি এই অভিনেতা।

একসময় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর দাপুটে নেতা ছিলেন রুদ্রনীল। কিন্তু সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বের পর থেকে তাঁর তৃণমূল ঘনিষ্টতা বাড়ে । পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন রুদ্রনীল৷ কিন্তু ইদানিং তাঁর কথাবার্তায় রাজনৈতিক অবস্থান বদলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে৷

আরও পড়ুন ::

Back to top button