দেশে সামান্য কমল করোনা সংক্রমণ, স্বস্তি অ্যাকটিভ রোগীর পরিসংখ্যানে
উত্সবের মরশুম এখনও শেষ হয়নি। আসছে শীতও। যথাযথ নিয়মবিধি মেনে না চলেল এই সময়ে মারণ করোনা ভাইরাস (Coronavirus) তৃতীয় ধাক্কা দিতে পারে, এই আশঙ্কা ছিলই। তা অনেকটাই সত্যি করে আচমকা দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুতে অবশ্য তা সামান্য কমল।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১৪ হাজার ৩৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের। একদিনে মহামারীর কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৮, ৭৬২। রবিবার আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি ছিল।
দেশে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্ত তা ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬৯৫। বলা হচ্ছে, এই সংখ্যা গত ২৩৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যানে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে দীপাবলির মরশুমে জনসমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে এই স্বস্তি কতদিন থাকবে, তা নিয়েও চিন্তা জারি থাকছে।
আরও পড়ুন : উত্তরপ্রদেশে একসঙ্গে ৯টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
কেরল, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের করোনা চিত্রও উদ্বেগজনক। পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ পালিত হচ্ছে আরও কঠোরভাবে। পুদুচেরিতে (Puducherry) আবার মহামারীর আতঙ্ক কাটিয়ে দীপাবলি উত্সব পালনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে ৮০ শতাংশের টিকাকরণ (Vaccination)হয়ে যাওয়ায় সেখানে কোভিডবিধি অনেকটা শিথিল হয়েছে।
গত সপ্তাহেই দেশের করোনা টিকাকরণ ১০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়েছে। তা বড় সাফল্য হলেও টিকাকরণের কাজ থমকে নেই। জোরকদমেই তা চলছে। পাশাপাশি, করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপসর্গহীন রোগীদের যাতে দ্রুত চিহ্নিত করে চিকিত্সা শুরু করা যায়, সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন