জাতীয়

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের আঙুলের ছাপ বদল, অতঃপর…

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের আঙুলের ছাপ বদল, অতঃপর…

এতদিন আমরা জানতাম- ‘অপরাধী কিংবা যেকোনও মানুষের পরিচয় শনাক্তে হাতের আঙুলের ছাপ অকাট্য প্রমাণ। কিন্তু এবার সেই ধারণাও পাল্টে গেল তেলেঙ্গানা পুলিশের সুবাদে’। তারা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের আঙুলের ছাপকেও এখন বদলে দেওয়া সম্ভব!

সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাতের আঙুলের ছাপ বদলে দেওয়ার অভিযোগে দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। অভিযুক্তরা মূলত কুয়েতে কাজের সন্ধানে যাওয়া ব্যক্তিদের এই অস্ত্রোপচার করতেন।

জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ওই দুই চিকিৎসক এখন পর্যন্ত মোট ১১টি এমন অস্ত্রোপচার করেছেন। প্রতিটি অস্ত্রোপচারের জন্য তারা নিতেন ২৫ হাজার রুপি। তাদের কাছে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন এমন দু’জন ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা কুয়েতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু সেখানে অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ায় তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কুয়েতে অবৈধ উপায়ে ফের ঢোকার জন্য হাতের আঙুলের ছাপই বদলে নেন এই দু’জন।

সোমবার তেলঙ্গানা পুলিশের বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে নাগা মুণ্ডেশ্বর রেড্ডি এবং সাগাবালা বেঙ্কটরমন নামে দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, তেলঙ্গানার কাডাপা জেলার ‘কৃষ্ণা ক্লিনিক’ নামের একটি ওষুধের দোকানে তারা এই অস্ত্রোপচার করতেন। পুলিশ তাদের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে।

জানা গেছে, এই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করাতে আসা ব্যক্তিদের আঙুলের চামড়ার উপরের স্তরটাকে কেটে ফেলতেন। তারপর সেখানকার একটি চামড়াকে তুলে সেটি ফের পুনঃস্থাপিত করতেন। এক থেকে দু’মাসের মধ্যে ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাওয়ার পর এক বছরের মধ্যে আঙুলের ছাপ সম্পূর্ণভাবে বদলে যেত।

পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রোপচার করানো ব্যক্তিরা নতুন ঠিকানায় আধার কার্ড করার জন্য আবেদন করতেন। তারপর কুয়েতে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতেন। এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জন ধরা পড়লেও বাকিদের সন্ধানে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

সূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া ডটকম, ডেকান ক্রনিকল

আরও পড়ুন ::

Back to top button