৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শুভ সূচনা করলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সল্টলেক এর করুনাময়ীতে ৭০০ টি বুক স্টল এবং ২০০ টি লিটিল ম্যাগাজিন কর্নার নিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে মেলা, চলবে 12 ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার এবারের থিম স্পেন।
৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মহানির্দেশক মারিয়া হোসে গালভেজ সালভাদর এবং ভারতে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত হোসে মারিয়া রিডাও ডমিন গুয়েজ। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে এবং সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।
১৯৭৬ সাল থেকে হাতেগোনা কয়েকটি পাবলিশার্সকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা বর্তমানে এই মেলা বিশ্বের অন্যতম বইমেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা ব্যানার্জি বলেন, গত বছর তেইশ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন, এ বছর আরো মানুষের ভিড় হবে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এই ৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমালোচনার ঊর্ধ্বে তিনি নন সমালোচনা থেকেই তিনি শেখেন। তাই তাকে কেউ সমালোচনা করলে বরং তিনি খুশি হন। তিনি এও বলেন, দিল্লিতে বাংলার বই মেলা আয়োজন করা হবে তাতে প্রত্যেকটা জেলা অংশগ্রহণ করবে, সমস্ত জাতি, সমস্ত উপজাতি এবং সমস্ত ধর্মের মানুষ সেই বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে এবং অন্যান্য দেশকেও তিনি এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
এবারের বইমেলায় তিনি তার মোট ছটি বই প্রকাশ করেন কবিতা বিতানের ইংরেজি অনুবাদ “স্যালুট”, “আমাদের দুর্গোৎসব”, “আমাদের সংবিধান ও কিছু কথা”, “দুয়ারে সরকার”, এবং “লহ প্রণাম ছড়ায় ছড়ায়(দ্বিতীয় ভাগ)”। এবারের বইমেলায় নতুন দেশ থাইল্যান্ড সহ মোট কুড়িটি দেশ অংশ নিচ্ছে। বইমেলার ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে যোগ দিয়েছে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়।