Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
বিচিত্রতা

যে রোগে ‘চুরি’ করার জন্য পাগল হয়ে ওঠে রোগী!

যে রোগে ‘চুরি’ করার জন্য পাগল হয়ে ওঠে রোগী!

সত্যজিৎ রায়ের ‘বারীন ভৌমিকের ব্যারাম’ গল্পটি পড়েছেন? বারীনবাবুর ছিল চুরির রোগ। যার চিত্রায়ণ আমরা নেটফ্লিক্সে সত্যজিৎ রায়ের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘রে’ সিরিজে দেখেছি। সেখানে এক অদ্ভুত রোগের নাম বলতে শোনা যায়। যার নাম ‘ক্লেপটোমানিয়া’। অভাবে নয়, অভ্যাসের বশে চুরির মানসিক রোগ এটি।

আপনার চারপাশে তাকালেই আপনি দেখতে পাবেন এমন কিছু ব্যক্তি যারা এমন রোগে আক্রান্ত। কোনো কারণ ছাড়াই চুরি করে ফেলছেন অন্যের কোনো পছন্দের জিনিসটি। চোর চুরি করে প্রয়োজন থেকে কিন্তু ক্লেপটোম্যানিয়াকরা করেন নিছক স্বভাবদোষে। রোগটি কিন্তু খুব সাধারণ নয়, বরং বিরল ধরনেরই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট্ট একটি শিশু অথবা বৃদ্ধ কোনো ব্যক্তি যে কেউই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ঘরভর্তি তার সব কিছু থাকা সত্ত্বেও সে চুরি করে। কেন করে সে জানে না। যেন চুরি করলেই মনটা তার শান্ত হয়ে যায়। নিজের চোখ বা হাতের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণই থাকে না। এমনকি চুরির পর সে রোগীর মধ্যে লজ্জাবোধেরও জন্ম হয়।

সমীক্ষা বলছে, প্রতি এক হাজারে তিন থেকে ছয়জন আক্রান্ত হয় এই রোগে। কারো কাছে চাইতে হবে না, জিনিসের বিনিময়ে কিছু দিতে হবে না অথচ জিনিসটি সে পেয়ে যাবে এই বোধটা তাদের মানসিক শান্তি দেয়। যদিও পরে এটা নিয়ে তাদের চিন্তা হয়। যদি ধরা পড়ে যায় এই ভয়ও থাকে তবে ওই মুহূর্তে রোগীরা নিজেদের আটকাতে পারে না।

ক্লেপটোম্যানিয়া হলে অন্যের জিনিস ক্রমাগত চুরির ইচ্ছা হয়। ক্লেপ্টোম্যানিয়া যাদের আছে তারা সচেতনভাবেই এই কাজ করে থাকেন। কিন্তু এ থেকে বের হতে পারেন না কেউই। লোকলজ্জার ভয়ে পরিবারের বড়রা প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। ছোটদের বকাবকি কিংবা মারধরও করেন, কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয় না।

কেন হয় ক্লেপটোম্যানিয়া? এর চিকিৎসাই কী? চিকিৎসকরা বলছেন, জেনেটিক কারনে অথবা মস্তিষ্কের ওপর কোনো প্রভাব থেকে এই রোগটা হতে পারে। কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি এবং অন্যান্য সাইকোথেরাপি এই রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button