রূপচর্চা

ত্বকের ক্ষতি আটকানোর ৫ টি সহজ উপায়

ত্বকের ক্ষতি আটকানোর ৫ টি সহজ উপায়

যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা একসারসাইজ করেন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কিন্তু এ সবের মধ্যে নজর সরে যায় ত্বকের থেকে। মানে, নিত্য চড়া মেকআপের ফলে ত্বকের যে মারাত্মক ক্ষতি হয়, তার থেকে নজর দিতে ভুলে যান অনেকেই। কিন্তু খুব সহজেই ত্বকের ক্ষতি আটকানো যায়। ত্বককে ডিটক্স করা যায়। তেমনই কয়েকটা সহজ পদ্ধতির সন্ধান

দু’বার ক্লিনজ
বছরের অন্য সময় হয়তো দিনের মাথায় একবার ত্বক ক্লিনজিং করেন। কিন্তু পার্টির মৌসুমে সেটা দু’বার করুন। সকালে একবার, রাতে একবার। মেকআপ, ময়লা এবং দূষিত পদার্থ দূর করার জন্য হালকা উষ্ণ জল ব্যবহার করুন। একদম নরম কাপড় এই উষ্ণ জলে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ক্লিনজিং অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ত্বক নরম হবে। মুখের রোমকূপের মধ্যে থাকা দূষিত পদার্থ আরও সহজে পরিষ্কার করতে পারবেন এই ক্লিনজিং অয়েলের ব্যবহারে।

পিল
ত্বকের সহজাত উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বককে ডিটক্স করতে পিলিং-এর জুড়ি নেই। যাদের খুব সেনসিটিভ ত্বক, তাদের অনেক সময় অ্যালার্জির সমস্যা হয় অতিরিক্ত পিলিং সলিউশন ব্যবহার করলে। সে ক্ষেত্রে কাপড়ে এই সলিউশন ভিজিয়ে নিয়ে সেটা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তারপর যদি সমস্যা না হয়, তাহলে দ্বিতীয় বার ব্যবহার করতে পারেন।

স্বল্প মেকআপ
মাথায় রাখবেন, পার্টির মৌসুমে চড়া মেকআপের কারণে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই বছরের এই সময়টা মেকআপ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। যদি পার্টি না থাকে, মেকআপের মাত্রা কমিয়ে ফেলুন। যদিও বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় মেকআপের দরকার হয়। সে ক্ষেত্রে কোনও চড়া কসমেটিক নয়, ভালো মানের সাধারণ কাজল, লিপস্টিক ব্যবহার করুন। তাতে আপনার সৌন্দর্য যেমন বাড়বে, তেমনই ত্বকের ক্ষতি কম হবে।

ময়শ্চারাইজ করন
চড়া মেকআপের ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্বকের ক্ষতি হতে থাকে। এবং ত্বকের তলায় টক্সিন জমা হতে থাকে। দিনে এবং রাতে হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। মনে রাখবেন কোনও একবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করার আগে, আগের বারের ময়শ্চারাইজার পরিষ্কার করে নেবেন। না হলে ত্বকে ময়লা জমে থাকবে।

বেশি জল খান
মনে রাখবেন, শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো ডিটক্স হল জল। পার্টির মৌসুমে ভারী খাবার হজম করার জন্য শরীরে বেশি জল লাগে। আর জল কম খেলে ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই সময় একটু বেশি জল খান। তবে কতটা বেশি, তা বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করা ভালো।

আরও পড়ুন ::

Back to top button