ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়তি নজর, প্রাপ্তির আশায় জেলাবাসী

ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়তি নজর, প্রাপ্তির আশায় জেলাবাসী

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: প্রায় দু’বছর পরে বুধবার ৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১৮-র নভেম্বরে তিনি ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের প্রশাসনিক বৈঠক সেরে সড়কপথে সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে রয়েছেন তিনি। বুধবার ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভার সময় দুপুর দু’টোয় হলেও তার আগেই সখানে পৌঁছতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতি তাঁর বাড়তি নজর রয়েছে, সেটা বরাবরই প্রশাসনিক সভায় বুঝিয়ে থাকেন তিনি।

গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় দুই জেলার যৌথ প্রশাসনিক সভায় ঝাড়গ্রামের বকেয়া কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বালি খাদান থেকে আদিবাসীদের শংসাপত্র বিলি, ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দাদের রায়তি জমির সমস্যা, উড়ালপুলের তলায় দু’দিকের রাস্তা, মেউদিপুর-ভিড়িংপুর রাস্তার মতো বিভিন্ন বিষয়ে কাজ কেন হয়নি সেই কৈফিয়তও আধিকারিকদের কাছে তলব করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও মঙ্গলবার রাতেই জেলা প্রশাসনের তরফে মেউদিপুর-ভিড়িংপুর রাস্তাটি বংলা গ্রামীণ যোজনায় হবে বলে বোর্ড লাগানো হয়েছে। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে সেই সব বকেয়া কাজের অগ্রগতি, একশো দিনের কাজের খতিয়ান, স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষিসেচ, জমির পাট্টা, হাতির সমস্যা, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তরের পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করতে পারেন বলে প্রশাসনিক মহলের ধারণা।

আরও পড়ুন: দলিয় কর্মির মৃত্যুর প্রতিবাদে বেহালাতে ধিক্কার মিছিল

বুধবার সভা সেরে মুখ্যমন্ত্রীর ঝাড়গ্রামে থাকার কথা। সভার পরে দলের কয়েকজন নেতা-নেত্রীর সঙ্গে দলীয় বৈঠকও করতে পারেন তিনি। অবশ্য করোনা পরিস্থিতিতে কতজনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারেন সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

খড়্গপুরের সভায় দু’টি জঙ্গলমহলের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমত, মাওবাদী হানায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বা মাওবাদী সন্ত্রাস পর্বের সময় থেকে যাঁরা দশ বছর ধরে নিখোঁজ তাঁদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।

ক্ষতিপূরণও পাবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বুনো হাতির হামলায় মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়গ্রমের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উপহার কী-কী দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ঝাড়গ্রামবাসী!

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button