ভারী শরীরের প্রেমে পড়লেন অভিনেত্রী !
প্রতিটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। ঋতাভরী চক্রবর্তী তার ব্যতিক্রম নন। ঋতাভরী এর আগেও একটি নস্টালজিক পোস্ট শেয়ার করেছিলেন যেখানে তিনি শৈশব থেকে বড় হওয়ার যাত্রাপথ সম্পর্কে লিখেছিলেন। এবার ঋতাভরী সম্প্রতি নিজের ট্রান্সফরমেশন সিক্রেট শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে।
ঋতাভরী বাংলা সিরিয়ালের মাধ্যমে যখন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন, সেই সময় ঘরোয়া বৌয়ের চরিত্রের রমরমা ছিল। কিন্তু ঋতাভরী ছিলেন একদম অন্যরকম। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ -র ললিতার মাধ্যমে আধুনিক বৌয়ের সংজ্ঞা তুলে ধরেছিলেন ঋতাভরী। তবে এই সিরিয়ালের পর তাঁকে তুলনামূলক ভাবে কম কাজ করতে দেখা যেত। কারণ ঋতাভরী সেই সময় ফিটনেস সচেতন হয়ে পড়েছিলেন।
এমনকি তিনি প্রচন্ড কড়া ডায়েট অনুসরণ করতেন যাতে ওজন না বেড়ে যায়। ইন্সটাগ্রাম সম্প্রতি ঋতাভরী ২০১৯, ২০২১ ও ২০২২ সালের ছবি শেয়ার করেছেন। ২০১৯ সালের সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঋতাভরীর পরনে রয়েছে কমলা রঙের লেহেঙ্গা চোলি। ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, ঋতাভরী স্লিম হলেও তাঁর বডি টোনড নয়।
ছবিগুলি শেয়ার করে ঋতাভরী লিখেছেন, তিনি বরাবর সৌন্দর্যে বিশ্বাসী। তবে কার কাছে কোন ওজন, কোন চেহারা ভালো লাগবে, এটা বোঝা খুব অদ্ভুত ব্যাপার। কিন্তু নিজের আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার। 2021 সালের ছবিতে সেতার হাতে, বেগুনি রঙের সালোয়ার-কামিজ পরে বসে রয়েছেন ঋতাভরী। তাঁর চেহারায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। স্লিম হওয়ার পাশাপাশি তাঁর চেহারা টোনড, ত্বকে রয়েছে উজ্জ্বলতা।
২০২২ সালের ছবিতে ঋতাভরীর ছবিতে ‘ফাটাফাটি’ ফিল্মের শুভ মহরতের একটি মুহূর্ত ধরা পড়েছে। সেই ছবিতে প্রায় নো মেকআপ লুকে ঋতাভরী। তবু তাঁকে সুন্দর লাগছে। আসলে পরপর দুই বছর তাঁর দুটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের ফলে তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছিল।