ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ফাঁকা মাঠে সভা করলেন। যা নিয়ে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনীতির চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড় ব্লকের রামগড়ের খেরোয়াল মাডওয়া ফুটবল মাঠে বিরসা মুন্ডার স্মরণে এক সভার আয়োজন করেছিল আইএসএফ। ঝাড়গ্রাম জেলায় সবে সংগঠন গড়ছে নওশাদের দল। কিন্তু এদিন সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
পুলিশের বক্তব্য, যে মাঠে সভা ডাকা হয়েছে, সেটি বিতর্কিত জমি। ফলে মাঠের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও এদিন সকাল থেকেই মঞ্চ বেঁধে অপেক্ষায় ছিলেন গুটিকয় আদিবাসী লোকজন।
আড়াইটা নাগাদ নওশাদ আসেন সভাস্থলে। তখন হাতে গোনা ৭০-৮০ জন মাঠে ছিলেন। নৌশাদ অভিযোগ করেন, তৃণমূলের দুর্নীতি ও জঙ্গলমহলবাসীর উপর তৃণমূলের বঞ্চনার ও অত্যাচারের কথা যাতে প্রকাশ্যে না আসে সেজন্যই সভা বানচাল করার অপচেষ্টা হয়েছে।
তিনি এলেও তৃণমূলের হুমকিতে লোকজন সভায় আসতে পারেননি। দীর্ঘ বক্তৃতায় তৃণমূলের দুর্নীতি ও আদিবাসী উন্নয়নের নামে সীমাহীন স্বজনপোষণ ও বঞ্চনা নিয়ে সরব হন নৌশাদ। জানিয়ে দেন, জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের অধিকারের দাবি নিয়ে লড়াইয়ে তাঁর দল পাশে আছে।
মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার সমালোচনা করে নৌশাদ বলেন, উনি মানুষের ভোটে জিতে এলাকার মানুষের কোনও কাজ করতে পারছেন না। কারণ তিনি কাস্ট সার্টিফিকেটের জালিয়াতি ও আদিবাসীদের বঞ্চনার কথা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরে জানালে তাঁর পদ চলে যেতে পারে।
বিরবাহা বলেন, জঙ্গলমহলে প্রচার পেতে এসেছিলেন নওশাদ সাহেব। তিনি কোনও লোকই তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি। কারণ, জঙ্গলমহল একজনকেই চেনে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।